অনুগল্প: সুখের সন্ধানে – লেখক: মির হাফিজ
- আপডেট সময় : ০৪:০৭:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭২ বার পড়া হয়েছে
‘পতি”তা’লয়ে গিয়ে ছিলাম নিজের দৈহিক চাহিদা মেটানোর জন্যে। সেখানে গিয়ে দেখি মেয়েটি জানালার পাশে বসে কান্না করতেছে।
‘জিঙ্গেস করলাম ‘কি ব্যপার তুমি কান্না,
করতেছো কেনো।
‘এমনি কান্না করতেছি।
আচ্ছা ওয়েট করুন আমি পোশাক খুলতেছি।
‘কেনো জানি মেয়েটার প্রতি আমার একটু
মহব্বোত হলো। আবার জিঙ্গেস করলাম প্লিজজ বলুন
আপনার কি হয়েছে।
‘আপনি জেনে কি করবেন।
এর থেকে না জানাই ভালো?
‘প্লিজজ বলুন।
‘বাড়ির কথা অনেক মনে পরতেছে।
খুব ইচ্ছে করতেছে বাড়ি যেতে।
‘কাজ থেকে ছুটি নিয়ে গেলেই তো হয়।
পরে আবার এসে কাজ করবে।
‘সম্ভব হলে সেটাই করতাম।
‘কেনো সম্ভব না কেনো?
‘আসলে আমার Boyfriend আমাকে এখনে বিক্রি করে দিয়েছে আমি চাইলেও যেতে পারবো না।
এখন এটাই আমার বাড়ি ঘর।
‘boyfriend বিক্রি করে দিয়েছে মানে।
কি বলো এই সব।
‘হ্যাঁ।
‘প্লিজ যদি একটু খুলে বলতে আমাকে।
‘থাকনা অজানা।
‘প্লিজজজজজজজজজ?
‘আস থেকে ৯মাস আগে একটি ছেলেকে আমি অনেক ভালোবাসতাম। একদিন ছেলেটি আমাকে বললো
জান চলো পালিয়ে বিয়ে করি।
তার কথাতে রাজি হয়ে গেলাম এবং পালিয়ে
আসলাম ঢাকায়।
তো ঢাকায় এসে দুইদিন এক সঙ্গে থাকার পরে সে আমাকে পতিতালয়ে বিক্রি করে চলে যায়।
‘এই সব কি সত্যি।
‘হ্যাঁ।
‘মেয়েটির কথা শোনার পরে বেশ কিছুক্ষন
নিশ্চুপ থাকলাম।
তখন মেয়েটি আবার বলে উঠলো।
‘কি হলো কাজ করবেন না।
‘তখন সোজা মেয়েটিকে বললাম।
আমি তোমাকে বিয়ে করে চাই! তোমার সঙ্গে চিরকাল থাকতে চাই।
‘মানে।
‘মানেটা হচ্ছে আমি তোমাকে বিয়ে করবো।
তোমার সঙ্গে থাকবো।
‘আপনার মাথা ঠিক আছে।
আমি একজন পতিতা।
‘সমস্যা নেই আমি মানিয়ে নিবো।
তুমি নাহয় তোমার অতিত ভুলে গিয়ে নতুন করে বাচবে
‘এটা কি সম্ভব।
‘তুমি চাইলেই সম্ভব।
‘আমি তো আপনাকে চিনিনা জানিনা।
এছাড়া আপনিও আমাকে চিনেন না জানেন না।
‘বিয়ের পরে দুজন দুজনকে চিনবো জানবো।
‘আপনার পরিবারের লোক মানবে আমাকে।
‘আমার পরিবারে কেউ নেই।
আমি একাই।
‘ওহ।
কিন্তু আমাকে এখান থেকে বের করবেন কিভাবে।
‘সেটা আমার চিন্তা।
তুমি কি আমাকে বিয়ে করবা।
‘বুজতছি না কি বলবো।
কারন একজনকে বিশ্বাস করে ঠগেছি।
‘প্লিজজ একটা সুযোগ দাও আমাকে।
আমি ঠগাবো না।
‘কিন্তু আপনি আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছেন কেনো।
সেটা আগে বলুন।
‘সত্যি বলতে তোমার কথা গুলা শোনার পরে তোমার প্রতি অন্য রকম একটা অনুভূতি কাজ করতেছে।
মনে হয় এটা ভালোবাসা।
‘২মিনেটের পরিচয়ে ভালোবেসে ফেল্লেন।
মনে হচ্ছে এটা আবেগ।
‘আবেগ না।
দুই মিনিটের কথায় না এক সেকেন্ডের দেখাতেও
ভালোবাসা যায়।
‘হ্যাঁ যায়।
‘শোন আমি তোমাকে এখান থেকে বের করার
ব্যবস্থা করতেছি।
আজকেই আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই।
‘ঠিক আছে।
‘কতো কথা বললম অথচ কেউ কারো নামেই
জানলাম না আমার নাম হাসিব তোমার।
‘আমার নাম আয়েশা।
‘ঠিক আছে আয়েশা আমি আসতেছি সব কিছুর
একটা ব্যবস্থা করে।
‘এর পরে হাসিব পতিতালয়ের লোকদের সঙ্গে কথা বলে ৪লক্ষ টাকার বিনিময়ে আশেয়াকে ওখান থেকে বের করে নিয়ে আসে।
‘আয়েশাকে বের করার পরে হাসিব সোজা কাজি অফিসে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে।
‘আজ বিয়ের ১০ বছর পরে আয়েশা একটি
সাক্ষাত কারে বলে ‘জানেন আমার স্বামির সঙ্গে এই দশ বছরে তুই কথা হয়নি।
আমি রাগ বা অভিমান করলে সে আমার রাগ ভাঙ্গায় আমি ভূল করলে আমার ভুল বুজিয়ে দেয়।
সে আমাকে কখনো আমার অতিত নিয়ে খোটা দেয়নি।
জানেন এই পৃথিবীতে যদি বতর্মান কোন সুখি নারী থেকে – থাকে তাহলে সেটা হবো আমি।
‘সত্যি পুরুষ তার শখের নারীকে অসম্ভব ভালোবাসে।
সেটা আমার স্বামী হাসিবকে দেখেই বুজেছি।
‘সবাই দোয়া করবেন আমি যেনো এভাবে চিরকাল সুখে থাকতে পারি আমি স্বামীর সঙ্গে।
‘সত্যিই কার কপালে কখন সুখ আসে বোঝা বড় দায়।
আর ভালো লাগা ভালোবাসা,
মন থেকেই হয়।